বদরগঞ্জ উপজেলা ঐতিহাসিক এবং ব্যবসা বানিজ্যের দিকথেকে অত্যান্ত গুরুত্বপূন একটি স্থান। বদরগঞ্জের আরেক প্রাচীন নাম কুমারগঞ্জ। প্রাচীন কালে এখানে কামার, কুমার, জেলে প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করতো। কুমার গোষ্ঠির কারনে এর নাম হয়েছিল কুমারগঞ্জ যা ব্রিটিশ আমল পযন্ত বলাবৎ ছিল। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ১২ নং রেগুলেশন অনুযায়ী কুমারগঞ্জ তৎকালীন রংপুর জেলার ২১ টি থানার একটি। ১৮২৯ খ্রি: উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের আমলে কোম্পানি সরকার জেলাসমূহ মহকুমা এ বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ১৯৮৪ খ্রি: পযর্ন্ত বদরগঞ্জ থানা রংপুর সদর মহকুমার আওতায় ছিল। ১৯৮৪ খ্রি: ১ ফেব্রুয়ারী প্রশাসনিক পরিবতনের ফলে রংপুর জেলার আওতায় বদরগঞ্জ উপজেলা হিসাবে প্রশাসনিক স্বকৃতি লাভ করে। ইতিহাস থেকে জানা যায় ব্রিটিশ আমোলে বদরগঞ্জে এক প্রভাবশালী জমিদার শ্রী বৈকুন্ঠ বরাট্র তার নাম অনুসারে এই এলাকার নাম বৈকুন্ঠপুর করে ছিলেন। প্রাচীন কালে বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে পরিপূন এবং নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি স্বপদসংকুল স্থান হিসাবে পরিচিত ছিল এবং এই স্থান চোর দস্যুদের অভয়ারণ্য হিসাবে পরিগনিত ছিল। পরবতীতে আধ্যাত্মিক সুফি সাধক ও দরবেশ হযরত শাহ বদর (রঃ) এর নামানুসারেই বদরগঞ্জ নামকরণ হয়েছে বলে লোকশ্রুতি আছে। বদরগঞ্জের কেন্দ্রস্থলে তাঁর পবিত্র মাজার শরীফ রয়েছে। আবার অনেকের ধারণা গৌরের নবাবের প্রতিনিধি বদরজঙ্গের নাম অনুসারে এ উপজেলার নামকরণ হয়েছে। জন নন্দিত মহান সাধক পীর ও ইসলাম প্রচারক হযরত শাহ্ বদর (রঃ) বা বদর পীর (রঃ) এর স্মৃতি সমুজ্জল বদরগঞ্জ একটি বিখ্যাত জনপদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। তিনি কে, কোথাকার মানুষ, কোন সময়ে তিনি এ অঞ্চলে পদার্পন কতেছেন যা আজও অজানা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস